এসে দেখি পিজ্জা আমার জন্য অপেক্ষা করছে। দেখেই ঝাঁপিয়ে পড়লাম। কে বেশি খেতে পারবে, আমার আর আপুর মাঝে প্রতিযোগিতা হচ্ছে আর এদিকে টিভি তে বাংলাদেশের খেলা হচ্ছে। আর ১০ বলে ১৮ করতে পারলেই বাংলাদেশ প্রথমবারের মত ফাইনাল খেলবে। ব্যাটিং করছে সেলিম আর আরিফ, হাতে আছে ৩ উইকেট। পরপর দুই বল ডটের পর ক্যাচ আউট হয়ে গেল আরিফ। আরিফ আজ ৬ রানের জন্য সেঞ্চুরি করতে পারলো না। এখন মাঠে নামবে রাশেদ। সেলিম আর রাশেদই শেষ ভরসা। হাতে আছে ৭ বল ২ উইকেট আর প্রয়োজন ১৮ রান। শেষ বলে সেলিম বল একদম সীমানার বাইরে পাঠিয়ে দিল। খেলার এই অবস্থায় সবার সামনে পিজ্জা পড়ে আছে, কিন্তু কেউ ই হাতেই নিচ্ছে না। প্রথম বলে ১ রান নিয়ে রাশেদ সেলিমকে খেলতে দিল। আজ যদি কিছু করতে হয় তাহলে সেলিমকে করতে হবে। সেলিম অপরাজিত আছে ১২ বলে ২৩ রান নিয়ে। সেলিম মারলো ঠিকই কিন্তু ভালো ফিল্ডিং এর জন্য মাত্র ১ রান পেল। এখন রাশেদ খেলছে, সবারই মাথা গরম এই ১ রান না নিলেই ভালো হত। নতুন ব্যাটসম্যান আর এখন তো বল নষ্ট করার সময় না। ৪ বলে ১০ রান লাগবে। ওয়াও, রাশেদ উইকেট কিপারের উপর দিয়ে ৪ মেরে দিল। ঠিক মুশফিক যেভাবে মারতো। ৩ বলে ছয় রান। আস্তে করে পিচে ঠেকিয়ে দৌড়ে এক রান। এমন সময় কেউ ১ রান নেয়? ২ বলে ৫ রান লাগবে। আজ হারলে আমাদের প্রথমবারের মত ফাইনাল খেলার স্বপ্ন, স্বপ্নই থেকে যাবে। চাপা উত্তেজনা, ভয়ে আমি টিভির দিকেই তাকাতেই পারছি না। চোখ বন্ধ করে আছি, আপুর চিৎকারে চোখ খুলে দেখি চারপাশে ক্যামেরা ঘুরছে৷ বল মাঠের বাইরে- ছক্কা!!
ইয়েস, ইয়েস! আমরা ফাইনাল খেলব। আমি আম্মুকে জড়িয়ে ধরে আনন্দে কাঁদছি। আপুও অনেক খুশি, খুশিতে আমাকে রিপু [1] তে ৫০ পয়েন্ট দিয়ে দিল। এই ৫০ আর আগের ২১ পয়েন্ট মোট ৭১ হল। ১০০ হলেই আপু আমাকে নতুন মাইবুক কিনে দিবে।
পরেরদিন সকাল ৭ টায় স্কুলের জন্য বের হয়ে গেলাম। আমরা সবাই স্কুলবাসে করে যাই। রাস্তায় এখন যেসব পাবলিক বাস আছে তার সবই সরকারি৷ কোনো ব্যক্তি মালিকানাধীন (প্রাইভেট) বাস এখন আর নাই। অনেক বাসের চালক, হেল্পার সবাই তৃতীয় লিঙ্গের যারা হিজরা নামে পরিচিত। শুধু তাই না, হিজরারা মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়েও কাজ করে। শুনেছি আগে নাকি তারা রাস্তায় বা বাজারে জোর করে টাকা তুলত৷ সবাই ওদের দেখলে ভয়ে পালাত। আর এখন ভয় পেলে সবাই দৌড়ে ওদের কাছে ছুটে যায়।
আপু বের হবে ৮ টায়। আপুও স্কুল বাসে করে যাবে। এখন অফিসের সময় বলে কিছু নেই। আগে নাকি সবাই ৯ টায় অফিস করত, রাস্তায় একসাথে বের হত আর জ্যামে বসে থাকত। এখন সবাই আলাদা সময়ে বের হয়। সকাল ৭ টা থেকে শুরু হয়। প্রথমে অষ্টম শ্রেনী পর্যন্ত যারা আছে তারা স্কুলে যায় এরপর সকাল ৮ টায় যায় নবম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত। ৯ টা থেকে সরকারি অফিস শুরু হয়, ১০ টায় বেসরকারি অফিস। ১১ টা থেকে সফটওয়্যার কোম্পানি আর ১২ টা থেকে গার্মেন্টস/অন্যান্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। বিকাল ৩ টার আগে কোন শপিংমল খোলে না। প্রায় তিনবছর হল এই নিয়ম চলছে। কারো কোন সমস্যা হয় না। সবার ছুটিও আলাদা আলাদা দিনে তাই নিজেদের ছুটির দিনে সবাই গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে পারি। আমার ছুটি শুক্রবার এবং শনিবার আপুর ছুটি বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার। গার্মেন্টস বন্ধ থাকে মঙ্গলবার। সফটওয়্যার কোম্পানিগুলো রবিবার আর একদিন ঐচ্ছিক ছুটি পায় ওরা। ব্যাংক বা সরকারি অফিসগুলো সারা সপ্তাহই অনলাইনে সাপোর্ট দেয় তবে শুক্রবার ছুটি৷ অন্য আরো একদিন ঐচ্ছিক ছুটি কাটাতে পারে। এছাড়াও প্রতি মাসের দ্বিতীয় শুক্রবার সবারই ছুটি থাকে। এইদিন ঈদের দিনের মত৷ সবাই সবার সাথে দেখা সাক্ষাত করতে পারে, বেড়াতে পারে।
এখন রাস্তায় প্রচুর গাড়ি চললেও কোন ট্রাফিক জ্যাম থাকে না । প্রতি মোড়ে মোড়ে এখন টি-জোন [2] আছে যেখানে গাড়ি থামানো বা রাখা যায় না। এছাড়াও ট্রাফিক ব্যবস্থার আধুনিকায়ন করা হয়েছে। একসময় ট্রাফিক পুলিশ কোন রাস্তা কত সময় খোলা থাকবে তা নিয়ন্ত্রণ করত। এতে কোন রাস্তা বেশি সময় আর অন্য রাস্তা কম সময় খোলা রাখার অভিযোগ করত অনেকে। এরপর ছিল টাইমার সিস্টেম, প্রতি রাস্তার জন্য সময় বরাদ্দ থাকত কিন্তু এতে করে কোন রাস্তায় বেশি যানবাহন থাকলে যানজট আরো প্রকট আকার ধারণ করত। এখন এসব সমস্যা নেই। প্রতি রাস্তায় সেন্সর বসানো আছে, সি টি সি এস [3]এর ম্যাপে সব তথ্য চলে যায়। তারপর তা পর্যবেক্ষন করে কোন রাস্তা কত সময় খোলা রাখলে সব গাড়ি দ্রুত সময়ে চলাচল করতে পারবে সেই অনুযায়ী রাস্তা নিয়ন্ত্রণ করা হয়। আর এখন তো হর্ণ নাই বললেই চলে। খুব প্রয়োজন না হলে কেউ হর্ণ চাপে না। হর্ণ দেওয়া এখন একরকম গালি দেয়া। আর যারা এরকম বাজে কাজ করে তাদেরকে কেউ ভালো চোখে দেখে না। সবাই এখন গাড়ির ডিসপ্লেতে সামনে বা পিছনে কোন কোন গাড়ি আছে তা দেখতে পারে। আর কারো গাড়িতে যদি কোন সমস্যা হয় তাহলে সে সি টি সি এস – এ তার সমস্যার কথা জানাতে পারে। আর তা সেন্ট্রাল সিস্টেম থেকে সবাইকে জানিয়ে দেয়া হবে যেন অন্যরা কোন সমস্যায় না পরে। অটোকার ও সি টি সি এস ব্যবহার করে সারা বাংলাদেশে প্রায় ২ লক্ষ অটোকার আছে। তারা সবাই (বি এস-৩ [4]) এর সাথে যুক্ত। এখন ঢাকার একপ্রান্ত থেকে আর একপ্রান্তে যেতে সময় লাগে ৪০ মিনিট।
আজ আমার মন অনেক ভাল। মঙ্গলবার অ্যাসাইনমেন্ট জমা দেয়ার কথা কিন্তু আজই আমার কাজ শেষ। স্কুলে আজ সবাইকে আমার ভিডিও দেখাব, মনে হয় সবার এখনো কাজ শেষ হয় নি। আমিই সবার আগে শেষ করে ফেলেছি। সবার আগে তুহিনকে দেখাতে হবে। সে আমার ভালো বন্ধু। সবকাজে অনেক সাহায্য করে। ক্লাসের ফাঁকে-
# কিরে তোর অ্যাসাইনমেন্টের কি অবস্থা ?
তুঃ এখনো শেষ হয় নি, আরো দুই দিন সময় আছে হয়ে যাবে। তোর কি অবস্থা?
# আমার তো শেষ।
তুঃ ওয়াও তাই নাকি? দেখি কেমন হয়েছে ?
# আরে তোকেই তো দেখাব।
আমি ভিডিও বক্স [5] থেকে বের করে তাকে আমার ভিডিও টা দেখালাম।
তুঃ হুম, খুব সুন্দর। পিছনে কোন ল্যাব ?
# কোন ল্যাব না। বেকড্রপ ব্যবহার করেছি।
তুঃ তাই নাকি? বোঝাই যাচ্ছে না। দে তোর মোবাইলটা দে, আমি ভালো করে একবার তোর লেকচার শুনি।
তুহিন আমার ভিডিও দেখছিল এমন সময়ই মোবাইল ফোন বেজে উঠল। অপরিচিত নাম্বার ।
# হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।
% ওয়া আলাইকুম আসসালাম। কেমন আছিস?
# ভালো, কিন্তু কে?
% আরে আমি, তোর মামা।
# কোন মামা?
% আজব? তোর কয়টা মামা? আমি তোর রাহুল মামা। কি হলো তোর?
আমার মামা কয়জন তা নিয়ে একটা থিসিস করা যাবে মনে হয়।
# আরে মামা, কিন্তু তোমার গলা এমন কেনো ? কেমন কেমন লাগছে! কোথায় তুমি? তোমার মোবাইল অফ কেন?
% আরে থাম থাম, এত প্রশ্ন? তবে উত্তর একটাই – আমি এখন অনেক ঠান্ডা একটা জায়গায় আছি।
# কোথায়? আমাকে নিয়ে গেলে না কেনো ?
% হাহা, এন্টার্কটিকা আছি। -৫০° তাপমাত্রা, তুই এখানে টিকতে পারবি না। বাংলাদেশের শীতেই যা শুরু করিস! এখানে -১০° হল গ্রীষ্মকাল।
# সর্বনাশ!! টিকে আছো কিভাবে?? কয়টা কম্বল নিয়ে গিয়েছো?
% একটাও না, এখানে শীতের পোষাক আছে। জরুরী কাজে এসেছি। আর কম্বল দিলেই কি গরম লাগবে নাকি? তোকে একটা মজার কথা বলি, কম্বলের ভিতর কিন্তু বরফ গলে না ফ্রীজের মত কাজ করে।
# মামা কি যে বল ? আমাকে কি বোকা পেয়েছো নাকি? কি সব বলছো? এক মিনিটও লাগবে না বরফ গলতে তবে কম্বল শুকাতে কতোদিন লাগবে তা আমি জানি না।
% শোন, শীতের পোষাক থেকে কি তাপ উৎপন্ন হয়? যদি তাই হতো, তাহলে তোর আম্মু কম্বলের উপর রান্নাবান্না করত। হাহা …
সোয়েটার বা কম্বল থেকে কোন তাপ উৎপন্ন হয় না। তাপ উৎপন্ন হয় আমাদের শরীর থেকে আর সে তাপ কম্বল বের হতে দেয় না। তাই তাপ বাড়তে বাড়তে একসময় আমাদের গরম অনুভূত হয়। আবার অন্যভাবে চিন্তা করলে বাইরের তাপ ও কম্বল ভিতরে ঢুকতে দেয় না।
বরফ কেন গলবে না, বুঝলি এই বার ?
# সবই বুঝলাম কিন্তু তুমি এখন কোথায়?
% কোথায় আবার, বললাম না এন্টার্কটিকাতে
# ঠিক তো?
% তোর ই-মেইল দেখ। আমি ছবি পাঠিয়েছি।
# কিন্তু, তোমার ফোন নাম্বার তো বাংলাদেশের দেখাচ্ছে। অপরিচিত নাম্বার, তাই তো চিনতে পারি নি। আর রোমিং এ থাকলে তো তোমার নাম্বারই থাকত। তাই সন্দেহ হচ্ছে তুমি কোথায়?
% ও এই কথা??? আগে বলবি না ! মনে হয় ভি ও আই পি (VoIP) দিয়ে ফোন ঢুকেছে।
# কি ভি আই পি( VIP) ফোন? কবে কিনলে?
% আরে বোকা! ভি ও আই পি ভয়েস অভার ইন্টারনেট প্রোটোকল। খেয়াল করে শোন, আমি যে তোকে কল করলাম তা সরাসরি তোর মোবাইলে না গিয়ে মাঝের একটা পথ ইন্টারনেটে পাড়ি দিয়েছে। এখানে তো মানুষ অনেক কম, তোকে আরো একটা উদাহরণ দেই-
মনে কর, আমি চীন আর তুই বাংলাদেশে। তুই তোর বন্ধুদের সাথে কথা বললে প্রতি মিনিট দশ পয়সা টাকা কাটে। আর আমি যদি চীনে আমার সহকর্মীদের সাথে কথা বলি তাহলে মিনিটে সাত পয়সা কাটে। কিন্তু তুই যদি আমাকে কল করিস তাহলে কাটবে তিন টাকা প্রতি মিনিট আবার কানাডাতে কল করলে কাটবে সাত টাকা মিনিট। কিন্তু কেন? কারণ, দেশের বাইরের এইসব ফোনকলের জন্য সরকারকে ফি দিতে হয় তাদের যন্ত্রপাতি ব্যবহার হচ্ছে এইজন্য।
আর ভি ও আই পি ব্যবহার করা হলে দুই দেশের মাঝে সংযোগের ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যবহৃত হয়। আর ইন্টারনেট ব্যবহার করার খরচ তুলনামূলক অনেক কম। এক্ষেত্রে ATA (analog telephone adaptor) ব্যবহার করা হয়। ATA হল এমন একটা ডিভাইস যা আমাদের ফোনকলকে ডিজিটালি রূপান্তর করে ইন্টারনেটের মাধ্যমে পাঠানোর জন্য তৈরি করে দেয়। আবার ইন্টারনেট থেকে পেয়ে তা মোবাইলে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। তুই কল করলে সেটা প্রথমে ATA তে ঢুকে ইন্টারনেটে চীন যাবে তারপর আবার ঐখানের সার্ভার থেকে আমাকে কল করে তুই যে কল করেছিস তারসাথে কানেক্ট করে দিবে। মজার ব্যাপার হল, এতে তোর খরচ হবে অনেক কম অনেকটা লোকাল ফোনকলের মত। আগে ভি ও আই পির অনুমতি না থাকলেও এখন এটা খুব স্বাভাবিক ব্যপার।
# ও তাই এখানে বাংলাদেশের নাম্বার দেখাচ্ছে? তুমি তাহলে এন্টার্কটিকাতে কিন্তু ওইখানে কি কর?
% জরুরী কাজ, আপাতত বলা যাবে না। এটা নিয়ে পরে তোর সাথে কথা হবে।
# তা বুঝলাম কিন্তু তোমার না বৃহস্পতিবার আমাদের বাসায় আসার কথা।
% আসার কথা, আমি না করলাম কখন ? এখন বল ই-মেইল দিলি কেন?
# ও ভুলেই গিয়েছিলাম, ইমি আপু তো কোটিপতি হয়ে গেছে। লটারি পেয়েছে!
% ওয়াও তাই নাকি? বিশাল ব্যাপার, অনেক বড় করে পার্টি দিতে বল।
# পার্টি দিবে, টাকা পাবে কোথায়?
% টাকা পাবে কোথায় মানে ? তুই না বললি লটারি পেয়েছে?
# হা হা মামা, তুমিও না! ফিশিং মামা ফিশিং আর একটু হলেই জালে ধরা পরত, আমি থাকাতে রক্ষা।
% হাহা, ও তাই এই কথা ??? এত এত ভিডিও বানাও আর নিজের বাসারই এই অবস্থা ?
# ভিডিও বানাই কিন্তু আমার ভিডিও তো বাসার মানুষ দেখে নি।
% কেন দেখে নি?
# কারণ আমি দেখাইনি, দেখালে আপু আমাকে পঁচাবে।
% পঁচাবে?? এখন না দেখলে তুই পঁচাবি। আজ বাসায় গিয়েই তোর প্রথম কাজ হল, আপাকে আর ইমিকে তোর লেকচার শুনানো। তা নাহলে আবার কোনদিন কি বিপদে পরে তার ঠিক নাই।
# ওকে মামা। তুমি বললে তাই হবে। আর বাংলাদেশের খবর জানো??
% বাংলাদেশে আবার কি হল?? বন্যা শুরু হয়ে গেছে ???
# আরে বন্যা হবে কেন? বাংলাদেশ তো ওয়ার্ল্ডকাপ ফাইনালে উঠে গেছে।
% তাই নাকি ??? ফাইনাল কবে ?
# বুধবার রাতে, ভেবেছিলাম তোমার সাথে দেখব। কিন্তু তুমি আবার এন্টার্কটিকাতে চলে গেছো।
% কিসের কি? তুই চিন্তা করিস না। একসাথে খেলা দেখব। বুধবারই চলে আসব আমি। এয়ারপোর্ট থেকে সোজা তোদের বাসায়।
# ঠিক তো? অনেক মজা হবে তাহলে। আমি আম্মুকে বলে রাখব কিন্তু।
% ঠিক আছে, কিন্তু এখন কোথায় তুই ? কয়টা বাজে ?
# মামা আমি বাসায় যাচ্ছি, বাসের জন্য অপেক্ষা করছি। বাজে ১ টা ।
% আমাদের এখানে রাত ১২ টা। পরে কথা হবে, এখন রাখি। আর শোন, আসার পথে কবিতা লিখেছি একটা। এয়ারপোর্টের দালাল তো এখন নেই, কিন্তু ডিজিটাল দালাল আছে অনেক। খালি এটা সেটা অফার দেয়। মেজাজটাই খারাপ। তোকে ই-মেইল করে রাখলাম।
# ওকে মামা, তাহলে বুধবার দেখা হচ্ছে।
% সাবধানে যা আর বাসায় গিয়ে জ্ঞান দিতে ভুলিস না।
# আল্লাহ্ হাফেজ।
[1] রিপু(কাল্পনিক)- এখানে পয়েন্ট দেয়া হবে শর্তে একজন অপরজনের কাজ করে দেয়, আর নির্দিষ্ট পয়েন্ট জমা হলে তার বিপরিতে পুরষ্কার দেয়া হয়।
[2] টি-জোন (কাল্পনিক) প্রতি মোড়ে ‘T’ মত অংশে গাড়ী রাখা নিষধ।
[3] সি টি সি এস(Central Traffic Control System) (কাল্পনিক) যানবাহন নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা ।
[4] বি এস-৩ (কাল্পনিক) বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট।
[5] ভিডিওবক্স(কাল্পনিক) অনেকটা youtube এর মত, কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহার করা যায়