ডিজিটাল কেনাকাটা – ৫

মঙ্গলবার

সকালে ঘুম থেকে উঠেই মাইম্যাপে চোখ পড়ল। মামার সাথে আজ রিক্সাভ্রমনে বের হবার কথা। আজকের আবহাওয়ার সংবাদও দেখে নিলাম, সব ঠিক আছে। কিন্তু মামার মনে আছে কিনা কে জানে? ভাবলাম মামা কে একটা ই-মেইল পাঠাই। কিন্তু ই-মেইল পাঠাবো নাকি এসএমএস? মামাদের সময় (১০/১২ বছর আগে) নাকি ই-মেইল থেকে এসএমএস বেশি ব্যবহার হত। কিন্তু এখন আর কেউ এসএমএস ব্যবহার করে না। শুধু কয়েকটা শব্দে কি সব বুঝানো যায়? তার উপর আবার ছবি পাঠালে অতিরিক্ত টাকা  দিতে হয়। অন্যদিকে ই-মেইল একদম ফ্রী। তবে আগে নাকি সবার কাছে ইন্টারনেট ছিল না। এটাতো ভাবাই যায় না! ইন্টারনেট ছাড়া তারা কিভাবে যোগাযোগ করত, সময় কাটাতো? এখন আমরা সবাই ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত। তাই মামাকে একটা ই-মেইল ই পাঠালাম। একটু পরই মামার উত্তর পেলাম।

————–

ঠিক ৩ টায় আবুল হোটেলের সামনে থাকবি। আর তোর আম্মুকে আমি বলে রেখেছি।
আসার সময় আপা ৫০০ টাকা দিবে। আনতে ভুলবি না ।

————-

এ আর নতুন কি? মামা প্রায় আম্মুর কাছ থেকে টাকা নেয়। আবার দিয়েও দেয়। খুব দরকার ছাড়া মামা টাকা চায় না। এটা সবাই জানে। তাই টাকা চাইলে আম্মু কখনো না করে না । আর যেহেতু আমাকে টাকা নিয়ে যেতে বলছে আজ আর আম্মু আমাকে বের হতে না করবে না।

আম্মুকে মামার কথা বলতেই-

~ হুম জানি। স্কুল থেকে এসে খেয়ে তারপর বের হবি। আর যাবার সময় কিছু টাকা নিয়ে যাবি, তোর মামাকে দিবি। ঠিক আছে ??

# ওকে আম্মু। আমাকেও কিছু টাকা দিও।

~ এই যে আবার শুরু হইছে ! এখন স্কুলে যা। দেরি হয়ে যাচ্ছে।

এরপর এক দৌড়ে একদম স্কুল বাসের সামনে। সব ক্লাস শেষে ১ টার মধ্যে আমি বাসায় হাজির। কোথাও কোন দেরী করি নি। খেয়ে দেয়ে আমি ২.৩০ টার মধ্যে একদম প্রস্তুত। আম্মুর সামনে হাজির হতেই আমার হাতে কিছু টাকা দিয়ে-

~এই নে ৫০০, তোর মামাকে দিবি। আর এই ৫০ টাকা তোর। উল্টা পাল্টা কিছু কিনবি না। পকেটে রেখে দিবি।

আমি টাকা হাতে নিয়ে ভাবলাম কিছু না কিনলে শুধু টাকা পকেটে নিয়ে ঘুরে কি লাভ? যাইহোক, টাকা দিয়ে কি হবে সেটা পরে দেখা যাবে। এখন তাড়াতাড়ি বের হতে হবে।

আমাদের বাসা থেকে আবুল হোটলের দূরত্ব একটু খুব বেশি না। ঠিক করেছি হেঁটে যাব। অনেকদিন বাইরে হাঁটা হয় না। যদিও বাসায় গেমজোনে প্রচুর দৌড়া-দৌড়ি করি। ভাবতে ভাবতে বাসা থেকে বের হয়ে গেলাম।

আবুল হোটেলের ঐ জায়গাতে একটা কমিউনিটি সেন্টার আছে। আগে নাকি এখানে একটা রেস্টুরেন্ট ছিল নাম “আবুল হোটেল”, এখন আর নাই। এখন এখানে বিয়ে-শাদী ছাড়াও নানা ধরণের অনুষ্ঠান হয়।

ফুটপাথ দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে চোখে পড়ল রাস্তায় একটাও রিক্সা নেই তবে বাম দিকে শুধু সাইকেল চলছে। আর সারা রাস্তায় ইলেকট্রিক কার। এত গাড়ি চলে রাস্তায় কিন্তু তবুও বিদ্যুতের কোন সমস্যা হয় না। কারণ, এখন সবাই নিজেদের বিদ্যুৎ নিজেরা তৈরি করে। একসময় সারা দেশে বিদ্যুতের নাকি অনেক সমস্যা ছিল। এখন আর নাই। গত কয়েক বছরে ঢাকা অনেক বদলে গেছে। এখন সব বিল্ডিং গ্রীন টেকনোলজিতে [1] তৈরি। পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ইন্টারনেট এই সব আছে আবার কোন অপচয়ও নাই। আর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র হবার পর আস্তে আস্তে কয়লা, ডিজেল, গ্যাস চালিত সব বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেছে। এখন দেশের ৮০% বিদ্যুৎ আসে নবায়ণযোগ্য উৎস থেকে। আমার সবচেয়ে অবাক লাগে সমুদ্রের ঢেউ থেকে যে বিদ্যুৎ তৈরি করা যায় তা দেখে। এখন প্রায় সব নদীতেই এমন অনেক প্রোজেক্ট আছে। তাছাড়া বায়ু, বিদ্যুৎ, জলবিদ্যুৎ, সৌরবিদ্যুৎ তো আছেই। এখন গাড়ীতে বা বাড়িগুলোতে যে রং করা হয় তা আসলে সৌরবিদ্যুতের প্যানেল। মামার কাছে শুনেছি, ছোটবেলায় আমিও দেখেছি রাস্তায় অনেক ধোঁয়া, ধুলাবালি থাকতো। এখন এসব কিছুই নেই।  

তুলনামূলকভাবে উপরের রাস্তাগুলো অনেক ব্যস্ত। আর নিচে যে পাতাল রেল আছে এটা বুঝাই যায় না। স্টেশন গুলাতে না গেলে বুঝাই যাবেনা কত মানুষ পাতাল রেলে যাতায়াত করে। হাঁটতে হাঁটতে আবুল হোটেলে চলে আসলাম। ঘড়িতে ২টা ৫৫ মিনিট। কিন্তু আমার আগেই মামা এসে আমার জন্য অপেক্ষা করছে। মামা কে দেখেই সব ক্লান্তি দূর হয়ে গেল কারণ, মামা সাথে করে রিক্সা নিয়ে এসেছে। মাটির নীচ দিয়ে রাস্তা পার হয়ে মামার কাছে গেলাম।

# মামা, এই নাও তোমার টাকা। পরে আবার মনে থাকবে না ।

মামা হাসি দিয়ে বলল-

% ওটা তোর কাছে রেখে দে। কাজ হয়ে গেছে। এক সপ্তাহ পর তোর আম্মুকে দিয়ে দিস।

# কি বল? আমি কত কি ভেবেছি!

% আরে এই টাকা দেবার জন্যই কি আসছিস নাকি ? ঘুরবি না ?

# হ্যাঁ মামা, তুমি এই রিক্সা পেয়েছো কোথায়?

মনে মনে ভাবতে লাগলাম, মামার টাকা দিতে হবে দেখে আম্মু আর আমাকে বেশি কিছু জিজ্ঞাস করে নাই। হয়ত মামা, চালাকি করে এই কাজ করছে। কবে যে আমি মামার মত চালাক হব ?!

% পেয়েছি মানে, তিন দিন আগে রিজার্ভ করে রেখেছি। কিন্তু আমার মাথায় আসছে না তুই রিক্সায় ঘুরে কি মজা পাবি?

# মামা, খালি তো রিক্সায় ঘুরার গল্প শুনি, কিন্তু কি মজা সেটা তো আমিও জানি না!

% হুম হইছে! চল, আমার হালিম খাবি না ?

মামার মনে আছে দেখে, মনে মনে খুব শান্তি পেলাম।

# কেন খাবো না ? তুমি তো জানো হালিম আমার কত প্রিয়!

কথা বলতে বলতে আমরা রিক্সায় উঠে পরলাম। রিক্সা চলতে চলতে আমার উপর আম্মু কি কি অত্যাচার করে তা বলতে লাগলাম। কিন্তু খেয়াল করলাম মামা অন্য মনষ্ক হয়ে আছে। বুঝলাম মামা হয়তো কোন কিছু নিয়ে চিন্তা করছে । তাই আর বিরক্ত না করে আমি ছবি তোলায় মনোযোগ দিলাম। রিক্সার একটা সুবিধা হল, এটা অনেক আস্তে আস্তে চলে। শান্তিতে  ছবি তুলা যায়। বামের দিকের রাস্তায় শুধু মানব চালিত যানবাহন চলে, তার মধ্যে সাইকেল অন্যতম। আমাদের পাশ কাটিয়ে প্রতি মুহূর্তে কয়েকটি করে সাইকেল চলে যাচ্ছে। হঠাৎ খেয়াল করলাম, মামা মোবাইল ফোন বের করে কি যেনো একটা হিসাব করছে। আমি ছবি তুলছিলাম, মামার ডাকে ঘুরে তাকালাম।

% ইমু, আমাদের রাস্তা যদি সোজা না হয়ে উঁচু-নিচু হয় তাহলে আমাদের চলাচল অনেক সহজ হয়ে যাবে।

আমি মামার কথার মাথা-মুন্ডু কিছুই বুঝলাম না। সারা দুনিয়ার সবাই পাহাড় কেটে রাস্তা বানায় আর মামা বলে উঁচু-নিচু রাস্তা নাকি ভালো!!

# মামা, বুঝলাম, নিচু রাস্তা ভালো সেটা তো আমিও জানি। যখন তোমার সাইকেল নিয়ে বের হই তখন নিচু রাস্তা খুঁজে খুঁজে সাইকেল চালাই। কিন্তু উঁচু রাস্তা আবার ভালো হয় কিভাবে ? আমার মনে আছে, এক বার রাস্তা এত উঁচু ছিল যে, সাইকেল থেকে নেমে হেঁটে হেঁটে উঠতে হয়েছে।

মামা আমার কথা শুনে এমনভাবে মাথা নাড়ালো যে আমার কথা ঠিক, কিন্তু কোথাও একটা ঝামেলা আছে। আমার কথা শেষে মামার দিকে তাকিয়ে আছি আর মামা মোবাইল ফোনে কি যেন আঁকছে।

# মামা উঁচু রাস্তার রহস্যটা কি ?

% কোন রহস্য নাই। এই যে আমাদের রিক্সাওয়ালা মামা রিক্সা চালাচ্ছে, রাস্তাটা একটু নিচু হলে কিন্তু মামাকে আর চালাতে হত না। শুধু মামা বসে ডান-বাম করতো। আর প্রয়োজনে ব্রেক চাপতো।

আমাদের কাজকর্ম দেখে রিক্সাওয়ালা মামা মনে হয় মজা পেয়েছে। উনি বলে উঠলেন-

রিঃ ভাতিজা, ঢাকায় তো এমন কোন রাস্তা নাই। তবে আমাদের এলাকায় আছে। আর ঢাকায় আছে ফ্লাইওভার। কিন্তু ফ্লাইওভারে তো আবার রিক্সা নিষেধ।  তাই কিছু করার নাই। কষ্ট করে চালাতে হবে।

আমি উনার কথা শুনতে শুনতে  আবার হিসাব মেলাতে লাগলাম, রিক্সাওয়ালা আমার মামা, আবার মামার ও মামা। আবার রিক্সাওয়ালা রাহুল মামাকে ভাতিজা বলল। তাহলে আমি রাহুল মামার কি হই?!

এইসব চিন্তা করতে করতে খেয়াল করলাম, মামা রিক্সাওয়ালা মামাকে বলছে-

% মামা, আপনি আমাদের কথায় কান দিয়েন না। এই সব উল্টাপাল্টা জিনিস আপনি বুঝবেন না। আপনি আমাদেরকে বিখ্যাত মামা হালিমের দোকানে নিয়ে যান। আর সাবধানে চালান। ট্রাফিক সিগন্যাল দেখে চালান। উল্টাপাল্টা করলে কিন্তু জরিমানা দিতে হবে।

এখন ট্রাফিক আইন অনেক কঠিন। মামা মনে হয় সেটাই মনে করিয়ে দিল। আগে নাকি এত কঠিন ছিল না । যাইহোক আবার উঁচু-নিচু তে ফিরে গেলাম

# মামা ব্যপারটা কিন্তু আমি এখনো বুঝলাম না ।

% আরে ব্যপারটা খুব সহজ।

এরপর মামা আমাকে যা বুঝালো তা শুনে আমি তো অবাক-

% এই ধর, এই রিক্সাটা যদি নিচু রাস্তায় চলতে থাকে তাহলে প্রতি মুহুর্তে তার গতি বাড়বে। আর একসময় গতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। তাই রাস্তা এমনভাবে তৈরি করতে হবে যেন এমন ঘটনা না ঘটে।

 # তাহলে কি করা যায়?

% এটাই তো মজা । আমি হিসাব করে দেখলাম ১ কিলোমিটার রাস্তায় আমরা ১ ফুটের উঁচু-নিচু রাস্তা তৈরি করতে পারি। আরও বিস্তারিত বললে ধর, এখান থেকে রাস্তা নিচু হওয়া শুরু করবে আর ৯৭০ মিটার পর্যন্ত নিচু হবে। এখান থেকে ৯৭০ মিটার দূরের জায়গাটা মাত্র ১ ফুট নিচু। খালি চোখে খুব ভালো না করে তাকালে বুঝা যাবেনা। আর পরের ৩০ মিটার হল আস্তে আস্তে উঁচু হবে। এর ফলে যে গতি বেড়েছিল তা আবার কমে যাবে। এই উচ্চতা উঠতে একটু পরিশ্রম করার প্রয়োজন হতে পারে। এটা নির্ভর করে যানবাহনের ভরের উপর।

মামার কথা কতটুকু বুঝলাম সেটা আমিও বুঝতে পারলাম না। কিন্তু এটা বুঝলাম, মামা যেভাবে বলেছে সেটা আসলেই সম্ভব। বলতে বলতে আমরা মামা হালিমের সামনে হাজির। আমরা নেমে ভিতরে ঢুকলাম। মামা রিক্সাওয়ালা মামাকেও জোর করে সাথে নিয়ে আসলো। রিক্সাওয়ালা মামার নাম সায়েমুল হক। হক মামা তার রিক্সা পাশের পার্কিং-এ রেখে আমাদের সাথে যোগ দিল।

পুরো রেষ্টুরেন্টে আমরা তিন জন।  মামা হালিম আগের মতো এখনো বিখ্যাত কিন্তু এখন আর কেউ এখানে আসে না । সবাই এদের বাসায় পৌঁছে দেয়ার সেবা নেয়। তাই আমাদের দেখে রেষ্টুরেন্টের লোকজন ব্যস্ত হয়ে গেল। দেখেই বুঝা যায়, অনেকদিন পর তারা আমাদের পেয়েছে। কেউ তেমন প্রস্তুতও ছিল না ।

এই দিকে মামা, হক মামার সাথে অতীতের গল্প করছে। আগের দিন কেমন ছিল আর এখন কেমন! এরমধ্যে একজন এসে জিজ্ঞাসা করলো, মামা কি দিব?

% আমার হালিম দাও তিনটা।

বলেই আমার তাকিয়ে মুচকি হাসল। আর ঐ লোক আবার জিজ্ঞাস করলো,

রেঃ কোন হালিম মামা? 

% আরে তোমাদের হালিমই দাও

রেঃ  জ্বী মামা কোনটা? গরু, খাসি, নাকি মুরগী?

মামা আমাদের দিকে তাকালো। হক মামা মুরগীর টা খাবে, মুরগীরও যে হালিম হয় এটা নাকি তিনি জানেন না। আর আমার এলার্জির সমস্যা তাই খাসিরটা নিব। আর গরু হল মামার অনেক প্রিয় তাই মামা গরুর হালিম নিবে। এইবার মামা তিনজনের জন্য তিন রকমের তিনটি হালিম অর্ডার করল।

% আমাদের তিনটারই একটা একটা করে দাও। দেখি কোনটার স্বাদ কি রকম।

রেঃ  জ্বী মামা। এখানে খাবেন নাকি নিয়ে যাবেন ?

% আরে খাওয়ার জন্যই তো এতদূর আসলাম। এখানেই দাও। আর আমারটা তে একটু ঝাল দিও।

রেঃ  মামা, আপনার কোনটা?

% গরুর টা।

# আমার টায় একটু হাড্ডি কম দিয়েন।

রেঃ  ছোট মামা, আপনার কোনটা?

# খাসির টা। খাসির হালিম নিলে শুধু হাড্ডি ছাড়া কিছুই পাওয়া যায় না । তাই আগেই বললাম।

এবার হক মামার দিকে তাকিয়ে উনাকে জিজ্ঞাস করলো-

রেঃ  বড় মামা, আপনার কিছু লাগবে ?

হক মামা কিছু চাইলো না, কিন্তু সবাইকে ভালো করে সালাদ দিতে বলল। মামা হালিম খেতে এসে একটা বিষয় লক্ষ্য করলাম। এখানে আমরা তিনজনই মামা! মামা, ছোট মামা, বড় মামা। কি অদ্ভুত?!! আরো অদ্ভুত ব্যাপার হল, কোনটা কে এটা কারোরই বুঝতে কোন সমস্যা হল নানাম না জেনেও লোকটা কি সুন্দরভাবে সবার কাছ থেকে অর্ডার নিয়ে গেল।

গল্প করে খেতে খেতে অনেক সময় হয়ে গেল। সন্ধ্যার আগে বাসায় না ফিরতে পারলে আম্মু আবার চিন্তা করা শুরু করে দিবে। তখন আবার একটু পর পর “সার্কেল” [2] অ্যাপ দিয়ে আম্মুকে আমার বর্তমান অবস্থান জানিয়ে দিতে হবে। আরও বেশি দেরী হলে এর সাথে ছবিও দিতে হবে। বিশাল ঝামেলা…

তাই মামা কে তাড়া দিলাম যে তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরে যেতে হবে। এখন প্রায় ৪ টা বাজে। ১ ঘণ্টার মধ্যে বাসায় পৌঁছাতে পারলে আর কোন ঝামেলা নাই। খেয়ে-দেয়ে ৪ টার দিকে রওনা দিলাম। হক মামা অনেক খুশি। মুরগীর হালিমটা মামার অনেক ভালো লেগেছে। 


[1] গ্রীন টেকনোলজি, পৃথিবীর জন্য ভালো এমন সব প্রযুক্তি

[2] সার্কেল (কাল্পনিক), পরিচিতদের সাথে যোগাযোগের মাধ্যম

আরো গল্প

Leave a Reply

Your email address will not be published.