পুরনো সব কথা চিন্তা করতে করতে কখন যে ঘুমিয়ে গেলাম খেয়ালই করি নি। স্বপ্নে আমার ছোটবেলার প্রিয় এন এফ এস- ডেড কিং খেলছিলাম। মামার ডাকে ঘুম ভাঙল। ঘড়ি দেখলাম মাত্র তিনটা টা বাজে, তার মানে চল্লিশ মিনিট ঘুমিয়েছি। আর এই চল্লিশ মিনিটের স্বপ্নে ঐ দিন কি কি করেছিলাম দেখে ফেললাম। এ আর নতুন কি! এর আগেও এমন হয়েছে, মামা বলেছে স্বপ্নের এক মিনিট নাকি বাস্তবের একঘন্টার সমান। কম বেশি ও হতে পারে। কারণ, স্বপ্নে আমরা একটা ঘটনার মাঝখান থেকে শুরু করি। আর ঘটনাগুলো আমাদের মস্তিষ্কের ভিতরের পুরাতন কোন ঘটনা থেকে তৈরি, আমরা তাই মাঝ থেকে স্বপ্ন দেখা শুরু করলেও এর আগে কি হতে পারে তার একটা ধারণা পেয়ে যাই। একদম শুরু থেকে আমাদের কে স্বপ্ন দেখতে হয় না। আজও হয়ত তাই হয়েছে, তাই চল্লিশ মিনিটে তিন বছর আগের বৃহপতিবার রাত থেকে শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত কি কি হয়েছে দেখে ফেললাম। স্বপ্নের চল্লিশ মিনিট আর বাস্তবের এক দিন।
মামা ডাকছে-
% কিরে? তোর না কত বিপদ? আর তুই ঘুমাচ্ছিস?
# আরে মামা তোমার কথা ভাবতে ভাবতেই তো ঘুমিয়ে গেলাম।
% ঠিক করে বল, আমার কথা নাকি অন্য কারো কথা !
# আরে কি যে বলনা মামা! তুমি ছাড়া আমার আর কেউ আছে নাকি ?
% হইছে আর বাড়িয়ে বাড়িয়ে বলা লাগবে না। তো আমার কথা কি ভাবছিলি?
# এই কম্পিউটার কেনার সময় তুমি যে আমাকে কত জ্ঞান দিয়েছিলে সেসব কথা। সুযোগ পেলে তো এখনও জ্ঞান দাও।
% ও, তাই নাকি ? তো এই জ্ঞান দেয়া তোর কোন কাজে না আসলে বা ভালো না লাগলে বল। আমি আর কাউকে শুধু শুধু জ্ঞান দিব না।
মামার দেয়া এই জ্ঞান গুলো দিয়ে যে আমি ক্লাসে কি ভাব নেই, সেটা মামাকে বলা যাবে না। তাহলে মামা আবার আমার সাথে ও ভাব নেয়া শুরু করে দিতে পারে।
# আরে মামা, ভালো লাগবে না কেন? আমার অনেক কাজে আসে। তুমি না থাকলে যে আমার কি হত!
% হুম, হইছে। এখন বল, তোর বিপদের কি অবস্থা ?
# এই যে, ‘মিস কম্পিউটার’ উনি চালু হচ্ছেন না ।
% এইটা যে মেয়ে তোকে কে বলল?
# কেউ বলে নি। ব্যবহারে কম্পিউটারের পরিচয়। একটু বেশি কাজ করলেই উনি অভিমান করা শুরু করে দেয়। আর এখন তো মনে হয় ব্যাগ গুছিয়ে বাপের বাড়ি চলে গেছে। আমার বিপদের সময় উনি রেস্ট নিচ্ছেন।
% হাহা তোর মাথা পুরা গেছে। কি সব আবোল-তাবোল বকছিস? কথা শুনে মনে হচ্ছে এটা তোর বউ!
ঠিকই তো, কি সব বলছি! মামার কথায় একটু লজ্জাও পেলাম…
# আরে মামা, এসব হল রূপক, বুঝলানা ব্যপারটা!
% তো কিভাবে কি হয়েছে? কিছু বের করতে পারলি?
# না মামা, আমি সবকিছু পরীক্ষা করে দেখেছি সব ঠিক আছে।
% যা বুঝার আমি বুঝে গেছি। এখন তোর কম্পিটারকে অপারেশন করে দেখি কি সমস্যা। আমার তো মনে হয় পাওয়ার সাপ্লাই গেছে। তাহলে তো আমার কিছু করার নাই।
# কি বল? তুমি না পরলে আর কে পারবে?
% পাওয়ার সাপ্লাই নষ্ট হলে নতুন একটা কিনতে হয়।
# আমি তো চেক করে দেখেছি সব কানেকশন ঠিক আছে।
% আরে বোকা। এই পাওয়ার সাপ্লাই কম্পিউটারের ভিতরে থাকে।
যেকোন ইলেকট্রিক যন্ত্রপাতি চলতে যেমন বিদ্যুতের প্রয়োজন হয় তেমনি কম্পিউটারের ভিতরের নানা ধরনের যন্ত্রগুলো চলার জন্যও বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়। আর এই বিদ্যুৎ সরবরাহ করে থাকে পাওয়ার সাপ্লাই। আমরা ২২০ ভোল্টের সংযোগ দিলেও এই পাওয়ার সাপ্লাই কম্পিউটারের বিভিন্ন হার্ডওয়্যারকে ৩/৫ বা ১২ ইত্যাদি ভোল্টের বিদ্যুৎ সরবরাহ করে উক্ত হার্ডওয়্যারকে সচল রাখে। এটা যদি সঠিকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে না পারে, তাহলে কম্পিউটার হ্যাং করা, বার বার রির্স্টাট, স্লো, চালু না হওয়া সহ নানা সমস্যা দেখা দিবে।
% তুই পাওয়ার কানেকশনটা দে।
এরপর মামা অনেক নেড়ে খুলে দেখে বলল,
% না তোর ভাগ্য ভালো পাওয়ার সাপ্লাই ঠিক আছে, কুলিং ফ্যান পাওয়ার পাচ্ছে, আবার মাদার বোর্ডও লাইট জ্বলে।
# মামা, কম্পিউটারের কি গরম লাগে ???
মামা আমার দিকে কেমন করে যেন তাকালো –
# না, মানে। সব কম্পিউটারেরই দেখি কুলিং ফ্যান থাকে। তাই মনে হল আর কি!
% তোর কি কখন ও মাথা গরম হয় ?
# কি বল মামা, হবে না কেন?? কাল রাতে যখন কম্পিউটার অন হচ্ছিল না তখন তো টেনশনে আমার অবস্থা খারাপ, দুই থেকে তিনবার মাথায় পানি দিতে হয়েছে।
% আর কখন মাথা গরম হয় ?
# এই যখন অনেক কাজ করি, হি হি। পড়ালেখা করলেও মাথা গরম হয়ে যায়। তখন একটু ব্রেক দিয়ে মাথা ঠান্ডা করে আবার পড়তে বসি।
% তোর মাথা গরম হলে কত কি করিস, এবার তোর কম্পিউটারের কথা চিন্তা কর। তার যদি মাথা গরম হয়, তাহলে কি করবে ?
# মামা কম্পিউটারের আবার মাথা আছে নাকি ??
% আছে না আবার, সিপিইউ-ই হল কম্পিউটারের মাথা। মানুষ যেমন মস্তিষ্ক দিয়ে সব নিয়ন্ত্রণ করে, তেমনি কম্পিউটারের সব কাজ নিয়ন্ত্রণ করে এই সিপিইউ দিয়ে।
# কিন্তু মামা মাথা আছে বুঝলাম, কিন্তু গরম হয় কেন ?
% বেশি কাজ করলে বা পড়াশুনা করলে যেমন তোর মাথা গরম হয় তেমনি কাজ করলে কম্পিউটারেরও মাথা গরম হয়। আর আমার তো মনে হয় কম্পিউটার তোর থেকে বেশি কাজ করে। প্রতি সেকেন্ডে কত লাখ লাখ ট্রানজিস্টর যে অন/অফ করতে হয়, তা যদি জানতি তাহলে আর আমাকে প্রশ্ন করতি না যে কম্পিউটারের মাথা গরম হয় নাকি?
# লাখ লাখ, তাও আবার প্রতি সেকেন্ডে ?
% মনে কর, তুই যে ভিডিও টা বানাবি তার সাইজ কত হতে পারে ?
# এইতো তোমার মোবাইল দিয়ে করব তো, পাঁচ মিনিটের সাইজ হতে পারে দুই জিবির মত।
% এই ভিডিও প্রসেস করতে তোর কম্পিউটারের কেমন সময় লাগবে?
# সময় লাগবে কেন? এই দুই সেকেন্ডের মতো।
% তাহলে তার মানে হল, সেকেন্ডে এক জিবি প্রসেস করবে।
# হুম তাই।
% তার মানে হল- সেকেন্ডে প্রায় ৮০০০০০০০০০ (৮শ কোটি) ট্রানজিস্টর অন/ অফ করতে হবে।
# মানে কি ? কি বল এইসব ?
% কি আর বললাম, এক জিবি তে কতগুলো বিট হয় তাই বললাম। আর প্রসেসর কেনার সময় কি লেখা ছিল মনে আছে? ৫ টেরাহার্জ। তাইতো? এর মানে জানিস?
# না মামা, এর মানে কি?
% এর মানে হল, প্রতি সেকেন্ডে ৫ টেরা প্রসেস করতে পারে তোর কম্পিউটার
কথা বলতে বলতে মামা কম্পিউটার চেক করছিল।
% মনে হয় র্যামে সমস্যা ।
# আমি আগেই জানতাম। কতদিন ধরে বলছি আমার র্যাম বাড়ানো দরকার, কারো সেই দিকে কোন খেয়ালই নাই !
% তোর কম্পিউটারের র্যাম কত ?
# কত আবার ১৬, ১৬, ৩২।
% তাতেও তোর হয় না ! আমি যখন ইউনিভার্সিটি তে পড়ি তখন আমার কম্পিউটারের র্যাম ছিল ৮ জিবি । আর সেটা দিয়ে পারলে বিশ্ব জয় করে ফেলতাম। আর তোর এখন ৩২ জি বি তেও হয় না । র্যাম ঠিকই আছে, মনে হয় নড়ে গেছে।
এই বলে মামা র্যাম খুলে পরিষ্কার করে আবার লাগাচ্ছে।
ছবিঃ 1 র্যাম লাগানোর নিয়ম।
% এই দেখ, কিভাবে র্যাম খুলতে আর লাগাতে হয়। তুই চাইলেও উল্টা-পাল্টা লাগাতে পারবি না। বেশি জোরাজোরি করলে ভাঙবে কিন্তু লাগানো যাবে না। বুঝলি!
আমি তাকিয়ে তাকিয়ে দেখলাম মামা কিভাবে র্যাম লাগাচ্ছে।
# মামা র্যাম ছাড়া কম্পিউটার চলে না ?
% কিরে তোর মাথা কি পুরা গেছে নাকি ? র্যাম ছাড়া আবার কম্পিউটার চলবে কিভাবে? কোয়ান্টাম কম্পিউটারে হতে পারে। কিন্তু এই ট্রানজিস্টরের কম্পিউটারে সম্ভব না ।
# কেন সম্ভব না? তুমি একবার চেষ্টা করে দেখ না।
মামা আমাকে লাইট দেখিয়ে বলল-
% তুই যদি বলিস, এই তার কেটে লাইটটা জ্বালাতে তো কেমন হবে ?
# আমি কি এত বোকা নাকি তোমাকে তার কেটে লাইট জ্বালাতে বলব?
% কে বলছে বোকা না? তুই তো মাত্র তাই করলি। তার কাটলে যেমন লাইট জ্বালানো যাবে না , তেমনি কম্পিউটার ও চলবে না। কারণ,
এই র্যামের মধ্য দিয়েই প্রসেসর সব ডাটা পায়। র্যাম খুলে ফেললে ঐখানে তার কাটার মত অবস্থা হয়। আর যেহেতু সবকিছু ঠিক নেই তাই কম্পিউটার চালু হবে না। কারণ, চালু হবার আগে সব ঠিক আছে কিনা তা চেক করেই কম্পিউটার চালু হয়।
# ও এই ব্যাপার? তাহলে এত র্যাম দিয়ে কি হবে ?? শুধু শুধু…
% কে বলছে শুধু শুধু ? তোর প্রসেসর কোনটা ?
# অক্টা-ফাইভ ৫ টেরা হার্জ, তুমিই তো কিনে দিয়েছো ?
% না, এর মানে হল, এই প্রতি সেকেন্ডে ৫, ০০০,০০০,০০০ (৫ বিলিয়ন) বিট সে প্রতি সেকেন্ডে প্রসেস করতে পারবে। এখন ঘটনা হল এত ডাটা সে পাবে কথায়?
# কেন এস এস ডি থেকে নিবে।
% হাহা, সঠিক উত্তর।
# উত্তর সঠিক হলে হাসির কি হল?
% হাসলাম কারণ, এস এস ডি এর ডাটা ট্রান্সফার রেট কত জানলে তুই উত্তর দেয়ার আগে পাঁচবার ভাবতি।
# কত?
% এখন প্রতি সেকেন্ডে এক জিবি আগে আরও কম ছিল। আর আমরা যে হার্ডডিক্স ড্রাইভ ব্যবহার করতাম তার স্পীড ছিল ৩০ থেকে ১০০ এমবি এর কাছাকাছি।
# সর্বনাশ। প্রসেস করতে পারে ৫ টেরা আর এসএসডি দেয় মাত্র ১ জিবি। কিভাবে কি?
% র্যাম; র্যাম হল এর সমাধান। র্যামের ডাটা ট্রান্সফার রেট ১৬ জিবি। খুব বেশি না হলেও অন্যদের থেকে বেশি। শুধু যে ট্রান্সফার রেট বেশি তা না, র্যাম কিন্তু প্রসেসরের কি লাগবে তা আগে থেকে এসএসডি থেকে এনে র্যামে জমা রাখে। আর প্রসেসরের যখন যা লাগে তা দেয়। এর ফলেই একটু শান্তিতে কম্পিউটার চালাতে পারিস, বুঝছিস?
# বুঝলাম, এখন আমারটার কি অবস্থা ?
% অবস্থা ভালো। মনে হয় কাজ হবে। আর একটা ব্যপার, কোন ওএস ব্যবহার করিস ?
# মামা, জিরা-টেন, ক্লাড ওএস [1]।
% তো, তোর কি মনে হয় এই ওএস সবসময় ক্লাড থেকে আসে? মানে তুই কিছু করলে তা সরাসরি সার্ভার থেকে কাজ করে ?
# সব তো ক্লাডেই হবার কথা!
% তোর মাথা! কত মানুষ, কত কি করছে তার হিসাব আছে ?
কম্পিউটার চালু করলে ক্লাড ওএসের জরুরি ফাইল র্যামে জমা হয়। এর বাইরে আর কিছু প্রয়োজন হলে সেটা সার্ভার থেকে ডাউনলোড করে। আমাদের পুরাতন ওএস ও ঠিক এভাবে কাজ করত। তবে সার্ভার থেকে না এনে হার্ডড্রাইভ থেকে এনে র্যামে রাখত। আর সব কাজ র্যাম থেকে হয়।
এখন বল র্যাম ছাড়া কি কম্পিউটার চলবে?
# কি যে বল মামা…!
% কি আর বললাম? তোর কথাই তোকে বললাম ।
# হয়েছে আর পঁচাতে হবে না।
কথা বলতে বলতে মামা দুইবার কম্পিটার অন-অফ করে দেখল সব ঠিক আছে কি না ?
% এই নে তোর কম্পিউটার। আর সমস্যা করবে বলে মনে হয় না। মাঝে মাঝে একটু পরিষ্কার করিস।
# ধন্যবাদ মামা। তোমার আরও সাহায্য লাগবে।
% কিসের সাহায্য ?
# ঐ যে অ্যাসাইনমেন্ট, একটা ভিডিও বানাতে হবে যে। তোমার মোবাইল দিয়ে ভিডিও করব। আমার মোবাইল থেকে তোমারটা দিয়ে করলে ভালো হবে। তোমার টা ৫০ মেগা পিক্সেল, খুব সুন্দর ভিডিও হয়।
% তা বুঝলাম, আমার হাতে কিন্তু সময় নাই ।
# সব রেডি আছে মামা তেমন সময় লাগবে না। এই রুমে আলো কম চল আমরা ইমি আপুর রুমে যাই। আপুকে রাজিকরার দায়িত্ব তোমার।
% ঠিক আছে, চল আমার সাথে । স্ক্রিপ্টটা নিয়ে নে।
# তুমি যাও, আমি আসছি।
আমি স্ক্রিপ্ট নিয়ে যেতে যেতে মামা ইমি আপু কে প্রায় রাজি করে ফেলেছে। ইমি আপুকে মামা বলছে –
% ওকে, মামা। তাহলে আমাদের নাটক শেষ হলেই তোমাকে দেখাব। আর আমাদের সর্বোচ্চ ১০ মিনিট লাগবে।
* হুম, তাহলে ঠিক আছে, কিন্তু রুমের কোন জিনিসে হাত দেওয়া যাবে না।
এরপর ইমি আপু আম্মুর রুমে চলে গেল। আর আমরা কাজ শুরু করে দিলাম।
# মামা, তোমারটায় বেক ড্রপ [2] অ্যাপ আছে না? ভাবছি পিছনে একটা কম্পিউটার ল্যাবের ছবি দিয়ে তার সামনে কথা বলব।
% আছে কিন্তু তাতে তো চার্জ বেশি লাগবে। তোর চার্জার টা দে, একটু চার্জ দিয়ে নেই।
# এতো সময় নেই, এখন চার্জার খুঁজতে পারব না, তুমি তোমার পোর্টেবল ক্যামেরাটা [3] খুলে দাও। আমি আমার মোবাইলে লাগিয়ে নেই।
% তোর টায় সফটওয়্যার আছে তো?
# আছে মামা, আর ক্যামেরা যেটা আছে সেটাও খারাপ না, কিন্তু তোমারটা বেক ড্রপ, হিউম্যান-ডিকেটশন [4] অনেক ভালো কাজ করে।
এরপর দেয়ালের সামনে দাঁড়ালাম, মামা প্রথমে আমার কয়েকটি ছবি তুলল, সেখান থেকে সফটওয়্যারে দিয়ে আমাকে চিনিয়ে দেয়া হল। এরপর আমার পিছনে একটি ছবি দিয়ে দেয়া হলো। এখন আমি কথা বলার সময় নড়াচড়া করলেও কোন সমস্যা নেই। দেখে মনে হবে আমি ল্যাবের সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলছি। এরপর মামা কিছু চেক করে নিলেন, যেমন লাইট, সাউন্ড ইত্যাদি।
% নে, শুরু কর।
# মামা, আমার হাত দেখা যায়?
% হুম যায়৷ তোর পা, মাথা সবই দেখা যায়।
# হা হা… আমি কি হেঁটে হেঁটে কথা বলতে পারব ?
% হুম৷ সামনে, ডানে, বামে জায়গা আছে।
# ওকে৷ মামা আমি রেডি।
% ৩, ২, ১ শুরু –
[1] জিরা-টেন, ক্লাড ওএস (কাল্পনিক), যে অপারেটিং সিস্টেম ইন্টারনেট থেকে সরাসরি ব্যবহার করা যায়
[2] বেক ড্রপ (কাল্পনিক), ভিডিও করার সময় পিছনে নিজেদের ইচ্ছে মত ছবি দেয়া যায়।
[3] পোর্টেবল ক্যামেরাটা (কাল্পনিক), মোবাইলের যন্ত্রাংশ খুলে আর একজনকে ব্যবহারের জন্য দেয়া যায়।
[4] হিউম্যান-ডিকেটশন, ক্যামেরার সামনের যে/যারা দাড়িয়ে থাকবে তাদের সারা শরীর চিনে এবং শরীর ব্যতীত বাকি অংশ বাদ দিয়ে দিতে পারে।